অর্থনীতি বার্তা | অনলাইন ডেস্ক
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে সেখান থেকে অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
তিনি বলেন, এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে এসব জিনিস (অস্ত্র) চুরি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পরই বলা যাবে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনসহ কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরে অস্ত্র চুরি হওয়ার বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ওখানে কিছু স্যাম্পল ছিল। প্রচণ্ড তাপে সেগুলো বের হয়ে গিয়েছিল। অনেক সময় স্যাম্পলগুলো রিলিজও করা হয়। সমস্যাটা জটিল, কারণ ওখানে কী কী মালামাল ছিল তার পূর্ণ তালিকা আমাদের সংগ্রহ করতে হয়েছে। এর মধ্যে কতগুলো কাস্টমস রিলিজ করেছে; এগুলো আমাদের কাছে আসছে, বলা হচ্ছে আপনারা সার্টিফিকেট দেন আগুন লেগেছিল। সেটার জন্য তো নির্দিষ্ট অথরিটি আছে।
অস্ত্রের বিষয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না উল্লেখ করে তিনি জানান, অনেক প্রতিষ্ঠান পিস্তল বা আগ্নেয়াস্ত্র কেনার বিজ্ঞাপন দেয়, তখন সরবরাহকারীরা স্যাম্পল আনে। এসব স্যাম্পল অনেক সময় টেন্ডার শেষ হওয়ার পরও বিমানবন্দরে থেকে যায়। নিয়ম অনুযায়ী ২১ দিন পর সেগুলো কাস্টমস থেকে রিলিজ হয়ে যাওয়ার কথা। এসব বিষয়ও তদন্তের অন্তর্ভুক্ত।
নাসিমুল গনি বলেন, আমি বিস্তারিত বলতে পারব না, কারণ তালিকাটা অনেক বড়। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টন মালামাল আসে। এর অর্ধেক ডিসপোজাল হয়, বাকিগুলো পড়ে থাকে। তাই এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে এসব বিস্তারিত থাকবে।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি সভা করে। ওই সভায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অন্যান্য অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্তে ১৬ সদস্যের কোর কমিটি গঠন করা হয়, যার সভাপতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
